কাঁচা আমে ভিটামিন C এর পরিমাণ বেশি এবং এটি পাকা আমের তুলনায় বেশি অ্যাসিডিক। এই অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য হজমে সহায়তা করে। কাঁচা আমে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজমের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর মাইক্রোবায়োমকে সমর্থন করে।
কাঁচা আমে ভিটামিন C-এর ঘনত্ব বেশি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। কাঁচা অবস্থায় থাকা অ্যাসিডিটি পাচক এনজাইম উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
এছাড়া, কাঁচা আম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী উপাদানে ভরপুর, যা ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
পাকা আমে বিটা-ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে, যা আমকে কমলা-হলুদ রঙ প্রদান করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। এছাড়া এতে উচ্চমাত্রায় ক্যারোটিনয়েড থাকে, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা বা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পাকা আমে ভিটামিন A-এর পরিমাণ বেশি থাকে, যা দৃষ্টিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে, পাকা আমে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যা আমকে মিষ্টি এবং সুস্বাদু করে তোলে। এই প্রাকৃতিক চিনি দ্রুত শক্তি জোগায় এবং মিষ্টি খাওয়ার তৃষ্ণা মেটায়।
কাঁচা এবং পাকা উভয় আমেরই আলাদা পুষ্টিগুণ রয়েছে। খাদ্যতালিকায় কাঁচা ও পাকা আমসহ বিভিন্ন ধরনের ফল অন্তর্ভুক্ত করলে নানা ধরনের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নিশ্চিত করা যায়।