‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার(১৯শে জুন) থেকে আজ শনিবার(২১শে জুন) পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদি ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন করবেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সরকারি পর্যায়ে ২৬টি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৪৯টি মিলিয়ে মোট ৭৫টি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নেন। রাজধানীসহ সারা দেশের ৬৪টি জেলার ৪৩১টি উপজেলায় মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রায় ১৩০ ধরনের অপ্রচলিত ফল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ ধরনের ফল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে এবং স্বল্প পরিসরে চাষও হয়। অপ্রচলিত ফল উৎপাদন ও সম্প্রসারণে ২০২০ সালে তিন বছর মেয়াদি একটি কর্মসূচি হাতে নেয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে এ কর্মসূচির মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় অনেক ফলকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। এর প্রভাবেই বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন অপ্রচলিত ফল পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা যায়, নানা জাতের দেশি ফলে দিয়ে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) স্টল। কাউফল, করমচা, ডেউয়া, আঁশফল, গাব, যজ্ঞডুমুর, চাম্বুল, আতা ফল, ডুমুর, চালতা, অরবরই, বিলিম্বি, শরিফা, সাতকরা, তৈকর, ডেফল, লুকলুকি, বৈচি, মুনিয়ার মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রায় অর্ধশতাধিক ফল এ স্টলে শোভা পেয়েছে। এছাড়াও আম, কলা, জামরুল, লেবু, অ্যাভাকাডো, লিচু, জামসহ দেশি-বিদেশি পরিচিত ফলও রয়েছে।