আম — গ্রীষ্মকালের রাজা নামে পরিচিত — শুধু স্বাদের জন্য নয়, স্বাস্থ্যগুণেও ভরপুর একটি ফল। বাংলাদেশে গ্রীষ্মে আমের আধিপত্য লক্ষ করা যায় এবং রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নত জাতের আম দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, আম খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:
আমে রয়েছে ভিটামিন A, C, E এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ গ্রাম পাকা আমে প্রায় ৬০ ক্যালোরি থাকে, যা শক্তির ভালো উৎস।
আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A থাকে, যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত আম খেলে রাতকানা ও চোখের শুষ্কতা রোধ করা যায়।
আমে থাকা পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
আমে রয়েছে ফাইবার এবং এনজাইম যা হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে এটি কার্যকর।
আমে থাকা গ্লুটামিন অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক। ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী।
ভিটামিন C ও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ আম ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে ও ব্রণের সমস্যা কমায়।
আমে থাকা পলিফেনলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলো শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি-রেডিকেল থেকে রক্ষা করে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
অতিরিক্ত পাকা আম খেলে রক্তে চিনি বেড়ে যেতে পারে, বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের সাবধানে খাওয়া উচিত।
ফরমালিন বা রাসায়নিকযুক্ত আম পরিহার করুন — চেষ্টা করুন গাছপাকা বা অর্গানিক আম খেতে।
কাঁচা আম দিয়ে চাটনি, আচার বা জুস
পাকা আম দিয়ে ম্যাংগো শেক, আইসক্রিম, লাচ্ছি, বা সরাসরি ফল হিসেবে খাওয়া যায়
আম শুধু একটি ফল নয় — এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ, যা সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং শরীরের নানা উপকারে আসে। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই সর্বোত্তম।